Lesson 5 of 11
In Progress

দাওয়াহ

hasan.zaman জুলাই ৭, ২০২৫

দাওয়াহ আরবী শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে আহবান জানানো বা ডাকা। সত্য ও সুন্দরের দিকে ডাকা। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার দিকে ডাকা। সামাজিক শান্তি ও কল্যান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার প্রতি আহবান জানানো। উপরিউক্ত অর্থ থেকে স্পষ্ট যে, দাওয়াত শব্দটি কাউকে কোন কিছুর প্রতি আহবান করাকে বুঝায়। উক্ত বিষয় গ্রহন করা বা না করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। তিনি স্বাধীনভাবে চিন্তা , ভাবনা করেই আহবানকারীর আহবানে সাড়া দেন বা প্রত্যাখ্যান করেন অথবা নীরব থাকেন।
وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِّتَكُونُواْ شُهَدَاء عَلَى النَّاسِ وَيَكُوْنَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا وَمَا جَعَلْنَا الْقِبْلَةَ الَّتِي كُنتَ عَلَيْهَا إِلاَّ لِنَعْلَمَ مَن يَتَّبِعُ الرَّسُولَ مِمَّن يَنقَلِبُ عَلَى عَقِبَيْهِ وَإِن كَانَتْ لَكَبِيرَةً إِلاَّ عَلَى الَّذِيْنَ هَدَى اللّهُ وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ إِنَّ اللّهَ بِالنَّاسِ لَرَؤُوفٌ رَّحِيْمٌ (১৪৩)
এভাবেই তো আমি তোমাদেরকে এক ‘মধ্যপন্থী উম্মত’ বানিয়েছি, যাতে তোমরা দুনিয়ার মানুষের জন্য সাক্ষী হও এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হন। পয়লা তোমরা (নামাযে) যেদিকে মুখ করতে সে দিকটিকে তো আমি শুধু এ উদ্দেশ্যে কেবলা বানিয়েছিলাম, যেন আমি জেনে নিতে পারি যে, কে রাসূলকে মেনে চলে আর কে উলটো দিকে ফিরে যায়। এ ব্যাপারটা তো বড়ই কঠিন ছিলো কিন্তু আল্লাহ যাদেরকে হেদায়াত দান করেছেন তাদের জন্য মোটেই কঠিন ছিলো না। আল্লাহ র তোমাদের এ ইমানকে কখনো নষ্ট করবেন না। নিশ্চিত জানবে যে, আল্লাহ মানুষের উপর বড়ই দায়ালূ ও মেহেরবান। (সূরা বাক্বারার ঃ ১৪৩)
وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِميْنَ مِن قَبْلُ وَفِي هَذَا لِيَكُوْنَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاء عَلَى النَّاسِ فَأَقِيمُوا الصَّلاَةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلاَكُمْ فَنِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ (৭৮)
আল্লাহ র পথে জিহাদ করো, যেমনভাবে করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে (নিজের কাজের জন্য) বাছাই করে নিয়েছেন। দীনের মধ্যে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। (দীন অনুযায়ী তোমাদের চলার পথে তিনি কোন বাধা থাকতে দেননি।) তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল­াতের উপর কায়েম হয়ে যাও। আল্লাহ আগেও তোমাদের নাম ‘মুসলিম’ রেখেছিলেন, এ কুরআনেও (তোমাদের নাম এটাই), যাতে রাসুল তোমাদের উপর সাক্ষী হন এবং তোমরাও মানব জাতির উপর সাক্ষী হও। সুতরাং নামায কায়েম করো যাকাত দাও এবং আল্লাহ কে মযবুতভাবে ধরো। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। কতই না ভালো এ অভিভাবক। আর কতই না ভালো এ সাহায্যকারী। (হাজ্জ ঃ ৭৮)
إِلاَّ الَّذِيْنَ تَابُواْ وَأَصْلَحُواْ وَبَيَّنُواْ فَأُوْلَئِكَ أَتُوبُ عَلَيْهِمْ وَأَنَا التَّوَّابُ الرَّحِيمُ (১৬০)
অবশ্য যারা এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকে, নিজেদের কর্মনীতি সংশোধন করে নেয় এবং যা গোপন করেছিলো তা প্রকাশ করতে থাকে, তাদেরকে আমি মাফ করে দেবো। আমি বড়ই তাওবা কবুলকারী এবং মেহেরবান। (বাক্বারা ঃ ১৬০)
أُبَلِّغُكُمْ رِسَالاتِ رَبِّي وَأَنَاْ لَكُمْ نَاصِحٌ أَمِينٌ (৬৮)
আমি তোমাদেরকে আমার রবের বাণী পৌঁছাই এবং আমি তোমাদের এমন হিতকামী, যার উপর ভরসা করা যায়। (আরাফ ঃ ৬৮)। আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র বলেন:
وَلاَ يَنفَعُكُمْ نُصْحِي إِنْ أَرَدتُّ أَنْ أَنصَحَ لَكُمْ إِن كَانَ اللّهُ يُرِيدُ أَن يُغْوِيَكُمْ هُوَ رَبُّكُمْ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ (৩৪)
আল্লাহ নিজেই যদি তোমাদেরকে পথহারা করার ইচ্ছা করে থাকেন, তাহলে যদি তোমাদের কোন মঙ্গল করতেও চাই তবুও আমার কল্যাণ কামনা তোমাদের কোন উপকারে আসবে না। তিনিই তোমাদের রব। তাঁরই দিকে তোমাদেরক ফিরে যেতে হবে। (হুদ ঃ ৩৪)।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً، وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلاَ حَرَجَ، وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏‏.‏
আবদুললাহ ইব্ন আমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল­াহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন, একটি আয়াত হলেও তা আমার পক্ষ হতে প্রচার কর। আর বনী ইসরাইল সম্পর্কে আলোচনা কর। তাতে কোন দোষ নেই। যে ব্যক্তি আমার প্রতি ইচ্ছাপূর্বক মিথ্যা আরোপ করে, তার নিজ চিরস্থায়ী ঠিকানা জাহান্নামে সন্ধান করা উচিত। (বুখারী)
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا- وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُّنِيرًا
“হে নবী! আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষী বানিয়ে, সু-খবরদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে, আল্লাহ র অনুমতিতে তাঁর দিকে দাওয়াতদাতা বানিয়ে এবং উজ্জ্বল বাতি হিসেবে” (আহযাব ৪৫-৪৬)।
يْنَزِّلُ الْمَلآئِكَةَ بِالْرُّوحِ مِنْ أَمْرِهِ عَلَى مَن يَشَاء مِنْ عِبَادِهِ أَنْ أَنذِرُواْ أَنَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَاْ فَاتَّقُونِ (২)
তিনি এই রূহকে তাঁর যে বান্দার উপর ইচ্ছা করেন নিজের হুকুমে ফেরেশতাদের মারফতে নাযিল করেন (এ নির্দেশ দিয়েযে, জনগণকে) সাবধান করে দাও, আমি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। কাজেই তোমরা আমাকেই ভয় করো। (নাহল ঃ ২)
فَذَكِّرْ إِن نَّفَعَتِ الذِّكْرَى (৯)
কাজেই আপনি উপদেশ দিন, যদি উপদেশ লাভজনক হয়। (আলা ঃ ৯)
فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُواْ لِي وَلاَ تَكْفُرُونِ (১৫২)
কাজেই তোমরা আমাকে মনে রেখো, আমিও তোমাদেরকে মনে রাখবো এবং আমার শোকর আদায় করো, আমার নিয়ামতের কুফরী করো না। (সূরা বাক্বারার ঃ ১৫২)
رُّسُلاً مُّبَشِّرِيْنَ وَمُنذِرِيْنَ لِئَلاَّ يَكُوْنَ لِلنَّاسِ عَلَى اللّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ وَكَانَ اللّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا (১৬৫)
এসব রাসূলকে সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীড হিসেবে পাঠানো হয়েছিলো, যাতে রাসূলগণকে পাঠাবার পর মানুষের কাছে আল্লাহ র বিরুদ্দে কোন যুক্তি না থাকে। আল্লাহ অবশ্যই শক্তিমান ও অতিশয় জ্ঞান-বুদ্ধির অধিকারী। (নিসা ঃ ১৬৫)
إِنَّ الدِّيْنَ عِندَ اللّهِ الإِسْلاَمُ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِيْنَ أُوْتُواْ الْكِتَابَ إِلاَّ مِن بَعْدِ مَا جَاءهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ وَمَن يَكْفُرْ بِآيَاتِ اللّهِ فَإِنَّ اللّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
হে আমাদের রব! একদিন তুমি অবশ্যই সব মানুষকে একত্র করবে, যে দিনটি আসার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তুমি কখনো ওয়াদা খেলাফ করো না। (আলে ইমরানের ঃ ১৯)
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُوْنَ بِاللّهِ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُوْنَ
এখন তোমরাই দুনিয়ার ঐ সেরা উম্মত, যাদেরকে মানব জাতির হেদায়াত ও সংশোধনের জন্য ময়দানে আনা হয়েছে। তোমরা নেক কাজের আদেশ করো ও মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখো এবং আল্লাহ র প্রতি ঈমান রাখো। আহলে কিতাবগণ যদি ঈমান আনতো তাহরে তাদের জন্যই তা ভালো ছিলো। যদিও তাদের মধ্যে কিছু লোক ঈমানদারও পাওয়া যায়, কিন্তু তাদের বেশির ভাগই নাফরমান। (আলে ইমরান ঃ ১১০)
قُلِ اللَّهَ أَعْبُدُ مُخْلِصًا لَّهُ دِينِي)
বলে দিন, আমার দীনকে আল্লাহ র জন্য খালিস করে আমি শুধু তাঁরই দাসত্ব করবো। (আল-যুমার ঃ ১৪)
وَالَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاء فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِيْنَ جَلْدَةً وَلاَ تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ
যারা সতী মহিলাদের উপর অপবাদ দেয়, তারপর চারজন সাক্ষী আনতে না পারে, তাদেরকে আশিটি করে বেত মারো এবং কখনো তাদের সাক্ষ্য কবুল করো না। এরাই ফাসিক। (সূরা নূর ঃ ৪)

يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ (১) قُمْ فَأَنذِرْ (২) وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ (৩) وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ (৪)
“হে কম্বল মুড়ি দিয়ে শায়িত ব্যক্তি! উঠো এবং সাবধান করো এবং তোমার রবের বড়ত্ব প্রচার করো। তোমার পোশাক পাক-সাফ রাখো” (মুদ্দাসির ১-৪)।

আমাদেরকে দরদভরা মন নিয়ে পৃথিবীর মানুষদের সামনে এই কথা তুলে ধরতে হবে যে, ’’ একজন মানুষ আরেকজন মানুষের গোলামী করতে পারেনা। সকল মানুষকে এক আল্লাহ রই গোলামী করতে হব্’ে’। কুরআনে এই কথাই তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রসংগে আল্লাহ বলেন:
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُواْ رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الأَرْضَ فِرَاشاً وَالسَّمَاء بِنَاء وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقاً لَّكُمْ فَلاَ تَجْعَلُواْ لِلّهِ أَندَاداً وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
হে মানুষ! তোমাদের ঐ রবের দাসত্ব করো, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের আগে যারা চলে গেছে তাদের সবাইকে পয়দা করেছেন। এভাবেই তোমরা রক্ষা পেতে পারো। তিনিই তো সে [সত্তা], যিনি তোমাদের জন্য জমিনকে বিছানা ও আসমানকে ছাদ বানিয়ে দিয়েছেন, আসমান থেকে পানি নাযিল করেছেন এবং তা দ্বারা নানা রকম ফলমূল পয়দা করে তোমাদের জন্য রিযকের ব্যবস্থা করেছেন। অতএব তোমরা যখন এ সবই জানো, তখন কাউকেও আল্লাহ র শরীক সাব্যস্ত করো না- বাকারা ২১-২২।
قُلْ هَذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللّهِ عَلَى بَصِيرَةٍ أَنَاْ وَمَنِ اتَّبَعَنِي وَسُبْحَانَ اللّهِ وَمَا أَنَاْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ (১০৮)
“(হে নবী!) আপনি তাদেরকে সাফ সাফ বলে দিন, “আমার পথ তো এটাই, আমি আল্লাহ র দিকে ডাকি। আমি ও আমার সাহাবরিা (স্পষ্ট আলোতে) আমাদের পথ দেখতে পাচ্ছি। আল্লাহ পবিত্র এবং যারা শিরক করে আমি তাদের মধ্যে শামিল নই” (ইউসুফ ১০৮।
আল্লাহ র রাসুল (সা) ইরশাদ করেন:
عَنِ عَبَّاسِ رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ ذَاقَ طَعْمَ الإِيمَانِ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً ‏”‏ رواه بخارى و مسلم
হযরত আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল করীম (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে আল­াহ্কে রব, ইসলামকে দীন এবং মুহাম্মদ (সা) কে নবী হিসেবে কবুল করেছে, সেই ব্যক্তি ঈমানের প্রকৃত স্বাদ লাভ করেছে (বুখারী-মুসলিম।
আল্লাহ র রাসুল (সা) তাওহীদের ঘোষণা দেয়াকে জান্নাতে যাওয়ার গ্যারান্টি হিসাবে উলে­খ করেছেন। এই প্রসংগে হাদীসে বর্ণিত আছে যে,
عَنْ أَبَا ذَرٍّ قَالَ قَالَ صلى الله عليه وسلم ‏”‏مَا مِنْ عَبْدٍ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ثُمَّ مَاتَ عَلَى ذَلِكَ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏”‏
হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত রাসুলে কারীম সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম ইরশাদ করেছেন কোন ব্যক্তি যদি লা ইলাহা ইল­াল­াহর ঘোষণা দেয় এবং এর উপর মৃত্যুবরণ করে তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ র রাসুল (সা) আরও বলেন:
عَنْ عِبَادَة بْنِ الصَامِت قَال سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ”‏ ‏.‏ رواه مسلم
হযরত উবাদাহ ইবন সামিত (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসুলে কারীম সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­ামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দিল যে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং হযরত মুহাম্মদ সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম আল্লাহ র রাসুল, তার জন্য আল্লাহ জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন। (মুসলিম)
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ (৩৩)
“ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে আর কার কথা বেশি ভালো হতে পারে, যে আল্লাহ র দিকে ডাকলো, নেক আমল করলো এবং বললো, নিশ্চয়ই আমি মুসলিম।” (হামীম সাজদাহ ৩৩)।
এই প্রসংগে আল্লাহ র রাসুল (সা) ইরশাদ করেন:
عن ابي هريرة ان رسول الله علي الله عليه وسلم قال من دعا الي هدي كان له من الاجر مثل اجور من تبعه لاينقص ذلك من اجورهم شئا و من دعا الي ضلالة كان عليه من الاثم مثل اثام من تبعه لاينقص ذلك من اثامهم شئا- رواه مسلم
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেণ যে রাসুলে কারীম সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি সঠিক পথের দিকে ডাকে তার জন্য এপথের অনুসারীদের বিনিময়ের সমান বিনিময় আছে। এতে তাদেও বিনিময় কিছুমাত্র কম হবেনা। আর যে ব্যক্তি ভ্রান্ত পথের দিকে ডাকে, তার উক্ত পথের অনুসারীদেও গুনাহের সমান গুনাহ হবে। এতে তাদেও গুনাহ কিছুমাত্র কম হবেনা।
অতীতে সকল নবী ও রাসুলই দাওয়াতী কাজ করেছেন ।
এই প্রসংগে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللّهَ وَاجْتَنِبُواْ الطَّاغُوتَ فَمِنْهُم مَّنْ هَدَى اللّهُ وَمِنْهُم مَّنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ الضَّلالَةُ فَسِيرُواْ فِي الأَرْضِ فَانظُرُواْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِينَ
আমি প্রত্যেক উম্মতের নিকট একজন রাসূল পাঠিয়েছি এবং তাঁর মাধ্যমে সাবধান করে দিয়েছি যে, “আল্লাহ র দাসত্ব করো এবং তাগূতের দাসত্ব থেকে দূরে থাকো। এরপর তাদের মধ্যে কাউকে আল্লাহ হিদায়াত দিয়েছেন এবং কারো উপর গোমরাহী চেপে বসেছে। কাজেই পৃথিবীতে একটু চলে ফিরে দেখে নাও যে, মিথ্যা আরোপকারীদের কী পরিণাম হয়েছে” (নাহল ঃ ৩৬)।