Lesson 9 of 11
In Progress

তারবিয়াহ

hasan.zaman জুন ১৮, ২০২৫

প্রশিনের মাধ্যমে সংগঠনের কর্মীদের মন – মগজ ও পরিত্র সংশোধনের চেষ্টা চালানো। ইলম বা ইসলামের মৌলিক জ্ঞানার্জন যে প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজে আইন তথা অবশ্য পালণীয দ্বীনি কর্ত্যব্য সে অনুভূতি সৃষ্টি করা এবং সে প্রয়োজনীয়তা পূরণে যথাযথ ভূমিকা রাখা। এই সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের যোগ্য কর্মী হিসাবে গড়ে তোলা। যুগে যুগে সকল নবী-রাসুলগণকে আল্লাহ পাক এই মৌলিক কাজ করার জন্য প্রেরণ করেছেন। এই প্রসংগে অনেক কুরআন ও হাদীস রয়েছে:

রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দায়িত্ব ছিল তালিম ও তাযকিয়ার কাজ
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ (২)
“তিনিই সে সত্তা, যিনি উম্মীদের মধ্যে তাদেরই একজনকে রাসুল হিসেবে পাঠিয়েছেন, যে তাদেরকে তার আয়াত শুনান, তাদের জীবন পবিত্র করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। অথচ এর আগে তারা স্পষ্ট গোমরাহীতে পড়ে ছিলো।” (সূরা জুময়া ঃ ২)

মানুষের চিন্তা চেতনা পরিশুদ্ধ করার জন্যই আল্লাহর রাসুল আগমন করেছেন
كَمَا أَرْسَلْنَا فِيكُمْ رَسُولاً مِّنكُمْ يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِنَا وَيُزَكِّيكُمْ وَيُعَلِّمُكُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُعَلِّمُكُم مَّا لَمْ تَكُونُواْ تَعْلَمُونَ (১৫১)
“যেমন (তোমাদের এভাবে সফলতা লাভ করেছো যে,) আমি তোমাদের নিকট তোমাদেরই মধ্য থেকে এক রাসূল পাঠিয়েছি, যিনি তোমাদেরকে আমার আয়াত পড়ে শোনান, তোমাদের জীবনকে সঠিকভাবে গড়ে তোলেন, তোমাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন এবং তোমাদেরকে ঐসব কথা শেখান, যা তোমরা জানতে না।” (বাক্বারাঃ ১৫১)
وَلِلّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ يَغْفِرُ لِمَن يَشَاء وَيُعَذِّبُ مَن يَشَاء وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ (১২৯)
“আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে তার মালিক আল্লাহ। তিনি যাকে খুশি মাফ করেন, যাকে খুশি শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াময়।” (বাক্বারা ঃ ১২৯)

যে জ্ঞান লাভ করে আর যে জ্ঞান লাভ করেনা উভয়ে সমান নয়
أَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ آنَاء اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُوْلُوا الْأَلْبَابِ (৯)
“(এ লোকের চাল-চলনই ভালো, না ঐ ব্যক্তির যে) আদেশ পালন করে, রাতের বেলায় দাঁড়ায় ও সিজদা করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রবের রহমতের আশা করে? তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, যারা জানে, আর যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে? বুদ্ধিমান লোকেরাই নসীহত কবুল করে থাকে।” (যুমারঃ ৯)

কুরআনের শিক্ষাই রবের শিক্ষা
الرَّحْمَنُ (১) عَلَّمَ الْقُرْآنَ (২) خَلَقَ الْإِنسَانَ (৩) عَلَّمَهُ الْبَيَانَ (৪)
“অতি বড় মেহেরবান আল্লাহ এ কুরআনের শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে পয়দা করেছেন এবং তাকে কথা বলা শিখিয়েছেন।” (আর রহমানঃ ১-৪)
وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنفِرُواْ كَآفَّةً فَلَوْلاَ نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَآئِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُواْ فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُواْ قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُواْ إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ (১২২)
“ অবশ্য মুমিনদের সবারই (এক সাথে) বের হওয়া জরুরি ছিলো না। কিন্তু এটুকু কেন হলো না যে, তাদের প্রতি দল থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসতো, তারা দীন সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান হাসিল করতো এবং ফিরে এসে তাদের এলাকার লোকদেরকে সাবধান করতো, যাতে তারা (অমুসলিমদের মতো আচরণ করা থেকে) বিরত থাকতে পারতো।” (তাওবাঃ ১২২)

হাদীস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ وَالْفَرَائِضَ وَعَلِّمُوا النَّاسَ فَإِنِّي مَقْبُوضٌ ‏”‏
আবূ হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ফরায়েজ ও কুরআন শিক্ষা কর এবং মানুষকে উহা শিক্ষা দাও। কেননা আমাকে অতিসত্বরই উঠিয়ে নেয়া হবে। (তিরমিযী)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى الله عنهما ـ ق قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “‏إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أَحْسَنَكُمْ أَخْلاَقًا ‏”‏‏.
হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন আমর (রা) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সা) বলেছেন, তোমদের মধ্যে সেই ব্যক্তি-ই সবচেয়ে উত্তম যে চরিত্রের দিক দিয়ে উত্তম। (বুখারী ও মুসলিম)