Back to Course
বায়াতের গুরুত্ব
0% Complete
0/13 Steps
-
বাইয়াতের শাব্দিক অর্থ
-
কুরআনে এ পরিভাষার ব্যবহার
-
বাইয়াতের ব্যাখ্যা
-
রাসুলের নিকট বাইয়াত অর্থ কি?
-
এ বাইয়াত কি শুধু রাসুলের কাছেই হতে হয়?
-
প্রচলিত বাইয়াত
-
বাইয়াতের আসল উদ্দেশ্য
-
বাইয়াতের দাবী
-
সব আন্দোলনেই শপথের রীতি আছে
-
ইকামাতে দীন ও বাইয়াত
-
আসল বাইয়াত আল্লাহর নিকট
-
জামায়াতী জিন্দেগীর গুরুত্ব
-
বাইয়াত কি প্রত্যাহার করা যায়?
রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের জীবন থেকে একথা প্রমাণিত যে, ইকামাতে দীনের কাজ সব ফরযের বড় ফরয। এ কাজের জন্যই আল্লাহ পাক রাসূল পাঠিয়েছেন বলে কয়েকটি সূরায় ঘোষণা করেছেন।
‘তিনিই সে সত্তা, যিনি তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও আনুগত্যের একমাত্র সত্য বিধানসহ পাঠিয়েছেন, যেন রাসূল (সা.) তাকে (বিধানকে) আর সব রকমের আনুগত্যের বিধানের উপর জয়ী করেন।’ (সূরা তাওবা ৩৩, সূরা ফাত্হ ২৮ ও সূরা সফ ৯ আয়াত)
- ইকামাতে দীনের জন্য মুসলিমদের জামায়াত বা সংগঠন অপরিহার্য। অর্থাৎ ইকামাতে দীনের এ বড় ফরয কাজটির জন্য জামায়াতবদ্ধ হওয়াও ফরয।
- মুসলমানদের যেসব সংগঠনে বাইয়াত পরিভাষাটি করা সত্ত্বেও ইকামাতে দীনের কোন কর্মসূচী ও কর্ম তৎপরতা নেই, সেখানে বাইয়াতের আসল হাকিকাত নেই। নামায, রোযা ও যিকরের মতো ইসলামে বহু পরিভাষা যেমন মুসলিমদের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও এ সবের হাকিকাত চর্চা খুব কমই হয়েছে, তেমনি বাইয়াত পরিভাষাটির অবস্থাও তাই হয়ে আছে।
- ইকামাতে দীন এর সাথে জামায়াত ও বাইয়াতের সম্পর্ককে নামায ও ওযুর সম্পর্কের সাথে তুলনা করা যায়। আল্লাহ পাক নামাযের জন্যই ওযুকে ফরয করেছেন। নামাযই হল আসল ফরয। ঐ ফরযটি ওযু ছাড়া হয়না বলেই ওযু ফরয। তেমনিভাবে জামায়াত ও বাইয়াত ছাড়া ইকামাতে দীনের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।
- তেমনিভাবে ইকামাতে দীনের উদ্দেশ্য ছাড়া যে বাইয়াত তা আসল বাইয়াত নয়। ইসলামে বাইয়াতের যে হাকিকাত তা এ বাইয়াতে পাওয়া যায় না।