মসজিদের আদব
-
মসজিদের অবস্থান
-
মসজিদ তৈরি করার মর্যাদা:
-
আযান শুনে নামায পড়ার আগে মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ নয়
-
মসজিদকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই মর্যাদা পূর্ণ কাজ
-
মসজিদের ভেতর কফ, থুথু ময়লা ইত্যাদি ফেলা নাজায়েজ
-
মসজিদে বেচা- কেনা করা, হারানো বস্তু খোঁজ করা বা সে ব্যাপারে ঘোষণা দেয়া বৈধ নয়
-
মসজিদে এসে বা নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকার সময় এক হাতের আঙ্গুলগুলো অন্য হাতের আঙ্গুলের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বসে থাকা নিষেধ
-
কাঁচা পিয়াজ বা কাঁচা রসুন খেয়ে অথবা দুর্গন্ধ নিয় মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ
-
আল্লাহর নিকট পৃথিবীর সর্বোত্তম স্থান হল মসজিদ সমূহ
-
মসজিদে গমন কারীর জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে একটি করে সওয়াব দেয়া হয় এবং একটি করে পাপ মোচন হয়
-
কবরস্থানে মসজিদ তৈরি করা কিংবা মসজিদে কবর বানানো হারাম
-
মসজিদে ধীরে-সুস্থে ও শান্তভাবে যাওয়া। তাড়াতাড়ি বা দৌড়িয়ে না যাওয়া
-
মসজিদে আগে যাওয়া এবং প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের প্রতি আগ্রহী থাকা:
-
মসজিদে প্রবেশকারী দুই রাকাআত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় ব্যতীত বসবে না
-
মসজিদে প্রবেশ করতে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবে। বের হবে বাম পা দিয়ে
-
মুক্তাদী সর্বদা ইমামের অনুসরণ করব
মসজিদে আগে যাওয়া এবং প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের প্রতি আগ্রহী থাকা:
hasan.zaman জুন ১৮, ২০২৫
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করে বলেছেন :
যদি মানুষ জানতে পারত, আযান এবং প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের মধ্যে কি ফজিলত, আর তা লটারি ব্যতীত অর্জন করা সম্ভব না হত, তবে তার জন্য লোকেরা অবশ্যই লটারি করত। আর যদি জানতে পারত মসজিদে আগে আসার মধ্যে কি ফযীলত, তাহলে তার জন্য প্রতিযোগিতা করে আসত। [বুখারী : হাদীস নং ৬১৫]
আর যিনি মসজিদে আগে আসবেন, কোনো কারণ ছাড়া তার প্রথম কাতার বাদ দেয়া উচিত নয়। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ বলেন,
যে ব্যক্তি আগে আসল এবং প্রথম কাতার বাদ দিয়ে বসল, সে শরীয়তের বিধান লঙ্ঘন করল।
সালাতে দেরি করে আসার দ্বারা বড় কল্যাণ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন :তোমরা আগে এসো এবং আমার একতেদা করো। আর তোমাদের পরে যারা আসবে তারা তোমাদের পিছনে দাঁড়াবে। যেসব মানুষেরা দেরি করতে থাকবে আল্লাহ্ তাদেরকে পিছিয়ে দিবেন। [মুসলিম : হাদীস নং ৬৬২]
সালাত আদায়ের উদ্দেশে মসজিদে আগে আসার উপকারিতা অনেক — জামাআত প্রথম থেকে পাওয়া, কুরআন তিলাওয়াত ও নফল সালাত আদায়ের সুযোগ। ফেরেশতাদের দোয়া লাভ; কেননা ফেরেশতাগণ এরূপ ব্যক্তির জন্য ক্ষমার দোয়া করতে থাকেন। সালাতের অপেক্ষায় থেকে সালাতের ছাওয়াব অর্জন। কারণ সালাতের অপেক্ষায় বসে থাকা যেন মূল সালাতেই নিমগ্ন থাকা।